সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দলগুলোর আস্থায় নেয়া উচিত

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দেশের সব রাজনৈতিক দলকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নেয়া উচিত বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তার দাবি, দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান কমিশন যতগুলো নির্বাচন করেছে তাতে কেউ বলতে পারবে না পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে। সব দল (আগামী দ্বাদশ জাতীয়) নির্বাচনে আসবে বলেও প্রত্যাশা তার।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি মো. আলমগীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘আশা করবো সব রাজনৈতিক দলের আমাদের আস্থায় নেয়া উচিৎ। কারণ আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে, আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি। প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যত রকম ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমরা নেবো। আগামীতে পার্টিসিপেটরি (অংশগ্রহণমূলক) নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।’

যারা নির্বাচনে আসছে না তাদের নির্বাচনে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত আপনাদের কোনো ভূমিকা থাকবে কি-না জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, ‘এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কী। আমরা আশাও করি যে, সব দল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে। যারা আসছেন না তারা বলছেন যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পেছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সংবিধান এবং আইন আমাদের যেসব দায়িত্ব দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে, আমরা তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।’

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কম ভোট পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই ইসি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোর নানানরকম পরিস্থিতি ছিল। একটি বড় রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যারা সাপোর্টার তারা তো ভোট দিতে আসেন না। এ জন্য ভোট কাস্টিং কমে যাচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনার মধ্যে আমাদের কিছু নির্বাচন করতে হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে তখন অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসেননি। এছাড়া উপনির্বাচনগুলো যখন হয়, উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকে অল্প্ এবং এতে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ভোটদানে আগ্রহ কম থাকে। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হতে পারে। সেই সুযোগ যেহেতু এখানে রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। তো সেক্ষেত্রে ভোটার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’

২ মার্চ ভোটার দিবসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটার দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে- সার্কভুক্ত দেশগুলোর একটা সংস্থা আছে। তারা একসময় দেখলেন যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভোটারদের যে অধিকার, দায়িত্বগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা চর্চার ক্ষেত্রে ভোট এবং ভোটারের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। ভোটাররা যদি ভোটদানের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকে, তারা যদি আগ্রহ না দেখায়, তাহলে তো গণতন্ত্রের যে সুষ্ঠু চর্চা, সেটা কিন্তু অনেকটা নিখুঁত হয় না। এজন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলো তাদের বিধানমত বছরে একটি দিন ভোটার দিবস হিসেবে পালন করবেন। যাতে দেশের সব মানুষ জানতে পারেন যে, এইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোটারদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে, ভোটদানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই জিনিসটা একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো। সে অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে আমরা এটি করে আসছি। আগে ১ মার্চ এই দিবসটি পালন করা হতো। এখন ২ মার্চ পালন করা হয়।’

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION